NNS : এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী, তার প্রিয় কানন তথা কলকাতার মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা সভাপতি শোভন চট্টপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ভূমিকায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক বাড়ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এমনই অভিযোগ তার। এ প্রসঙ্গে গতকাল তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন রবীন্দ্র সরোবর থানায়। দুষ্কৃতীদের সাহায্যে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় বাড়ি দখল করতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়র।
সংবাদমাধ্যমকে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই পুলিশের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে তিনি চিঠি লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে দুবার বেহালার পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মেয়র। সূত্রের খবর মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদ এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ইমেইল করে মেয়রের পদ ছাড়ার পাশাপাশি, মন্ত্রিত্ব, দলীয় নেতৃত্ব এমনকি দল থেকে সরতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস দলের তরফে বার বার দূত পাঠিয়েও শোভন চট্টোপাধ্যায় কে বোঝানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় কোন রকমের রফায় যেতে অস্বীকার করেছেন। জানা গিয়েছে, কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও, রাতে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে সতর্ক করলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে।
এরইমধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বয়ান। তিনি বলেছেন, সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন মেয়র । পরিবার থেকে আলাদা, পাটি থেকে আলাদা মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের 3 কাউন্সিলার মেয়রের রবীন্দ্র সরোবরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বেশকিছু ফাইলে সই করানোর জন্য গিয়েছিলেন তারা। জানা গিয়েছে মেয়র সেইসব ফাইলে সই না করে তাদের ফিরিয়ে দেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী মেয়র বলেছেন, আমি আর এখন তোদের নেতা নই।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা জোরদার হয়েছে যে, নারদ কাণ্ডে ফেসে শোভন চট্টোপাধ্যায় এখন দল থেকে সরতে চাইছেন। এমনও খবর পাওয়া গেছে যে, বিজেপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিজেপির রাজ্য নেতাদের একাংশ মনে করছেন যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে বড় ধরনের ভাঙ্গন ঘটবে। অনেকেই গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জন্য যোগাযোগ রেখে চলেছেন
0 comments:
Post a Comment