নাজমুল হাসান:কলকাতা: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত তৃণমূলের নেতা ও জন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দলকে জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠিত করার একটি রূপরেখা দিতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! নিজের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব রাখবেন না। দলই শেষ কথা। দু’বছরে ঘরকে আরও মজবুত করুন যাতে বাংলা থেকে ৪২ এর মধ্যে ৪২ টি আসন পাওয়া যায়। তার জন্য দলের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে।কোনও গ্রুপ থাকবে না একটাই দল তৃণমূল। প্রতীক জোড়া ফুল।
তৃণমূল নেত্রী মমতা এদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁর ভারত-যাত্রা ও সাউথ ব্লকের কুরসিতে বসার জন্য মোদি বিরোধী একমাত্র মুখ হওয়ার কৌশলে একই আসনে বসিয়ে বিজেপির সঙ্গে গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত জাতীয় কংগ্রেসকে এক নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন !তিনি বলেন নির্বাচনের সময় কংগ্রেস নানাভাবে বিজেপিকে সাহায্য করে, বাংলায়ও ঘটেনি তার ব্যতিক্রম তাই বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি-কংগ্রেস এর গোপন আঁতাত ছিল বলে তাঁর সরাসরি অভিযোগ! পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মোদি শিবিরের সঙ্গে গোপন যোগের অভিযোগের পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে নজিরবিহীন আক্রমণ করে মমতা ব্যানার্জি বলেন মনিপুর,মেঘালয়,চণ্ডীগড় এর মত জায়গায় বিজেপির হয়ে ভোট প্রচার করে কংগ্রেস তাই সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে তিনি বার্তা দিয়ে কার্যত একলা চলার ডাক দেন!
ভারত-যাত্রা তথা সাউথ ব্লকের কুরসি দখলের স্বপ্নকে সামনে রেখে এদিন তিনি বিজেপিকে গুজরাটের পার্টি ও কর্পোরেটদের টাকায় চলছে বলে অভিযোগ করেন!বিজেপি হল চু-কিত -কিতের দল!এও বলেন, অভিষেকের প্রাইভেট সেক্রেটারি,আইনজীবী, এমনকি স্কুলের বন্ধুদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে,এটা কি হচ্ছে?এছাড়া বিভিন্ন ভাবে মোদি সরকারের আমলে সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতি নিয়ে সবর হন! আরও বলেন 40 বছরের সিপিএম কে যদি হারানো যেতে পারে তাহলে 2024 সালে মোদি-অমিত শাহদের স্বেচ্ছাচারী জনবিরোধী শাসনের অবসান ঘটানোও সম্ভব! ত্রিপুরায় বিজেপি তৃণমূলের উপর ফ্যাসিবাদী হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন ! তাঁর বিশ্বাস আগামী দিনে তৃণমূলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে,আগামী দিনে সাউথ ব্লক থেকে মোদি-অমিত শাহদের নির্মূল করতে,তিনি ও তাঁর দল সারা ভারতজুড়ে সমস্ত বিরোধী দল গুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে সক্ষম হবেন বলে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী !
এদিন কংগ্রেসকে এইভাবে আকস্মিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণ জানিয়ে বলা হয় যে ত্রিপুরা,গোয়া,মেঘালয়ের মত রাজ্যে বিজেপি বিরোধী ভোটে বিভাজন ঘটিয়ে খুবই রাজনৈতিক চতুরতার সঙ্গে গোপনে গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং প্রচারের আলোকে তা ফাঁস হতেই এখন কংগ্রেস ও বিজেপিকে একই বন্ধনীতে এনে আক্রমণের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!পাশাপাশি কংগ্রেসের বক্তব্য 2009 সালে লোকসভা ও 2011 সালে বঙ্গের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস আঁতাত না করলে ও কেন্দ্রীয় আধাসেনা এসে নির্বাচনে নিরাপত্তা না দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নের ক্ষমতার চেয়ারে বসা কোনদিনই সম্ভব হতো না এই চরম সত্যটি তিনি অন্তত একবার হলেও তুলে ধরুক বাংলার আপামর জনগণের সামনে!
0 comments:
Post a Comment