এন এন এস [কলকাতা] ২ রা মার্চ: ত্রিপুরা মেঘালয়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তৃণমূলের। আগামি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের পরেই দ্বিতীয় বিজেপি বিরোধী শক্তি রুপে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছেন। তাই এখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের স্ট্রাটিজি তৈরিতে আত্ম নিয়োগ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মবিশ্বাসী যে, মোদী শাহরা কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলের প্রভাব খর্বের চেষ্টা করলেও তাতে ব্যর্থ হবেন। মমতার একাধিক রাজনৈতিক পরামর্শ দাতারা মনে করছেন যে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন মোদীর কাছে ক্রমশই কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে। শাসক দল বিজেপি ও তাঁদের মেন্টর আর এস এসের আশংকা যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা কমতে পারে। তাই বিজেপি যখন নতুন কৌশলে এগিয়ে যেতে চাইছে তখন মমতা বাংলায় মমতা বিজেপির সম্ভাব্য জয় ঠেকাতে এখন থেকে মরিয়া হয়ে পাল্টা স্ট্রাটিজি গ্রহণ করেছেন। মমতা শিবিরের দাবি যে, এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২-৫ টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস ২ টি আসন জিততে পারে তবে কমিউনিস্টরা এবারও যে পশ্চিমবঙ্গে যে শূন্য হবে তা নিয়ে নিশ্চিত মমতা শিবির।
মমতা চাইছেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ আসন জিতে জাতীয় রাজনীতিতে সাম্ভাব্য নতুন কোয়ালিশনে নিজের দর বাড়াতে। তাই লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত মোদী শাহদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত বাড়াতে বেশি আসন জিততে। তৃণমূল শিবিরের মত, বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রাপ্ত ভোট নেতিবাচক প্রচারে ৭-৮ শতাংশ কমতে পারে। তবে কংগ্রেস কমিউনিস্ট জোটের জনসমর্থন বাড়ার ইঙ্গিত ও বিজেপির ৩৮ শতাংশ থেকে ১১-১২ শতাংশ ভোট কমার ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূলের হিসেবে বিজেপি ২৭-২৮ শতাংশ আর বাম কংগ্রেস ১৮-২০ শতাংশ ভোট পেতে পারে। এর ফলে প্রায় ৩৫ আসন জেতার সম্ভাবনা বাড়ছে তৃণমূলের।
বিজেপি নিশ্চিতভাবে হুগলী, আসানসোল,দুর্গাপুর, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া বালুরঘাট, মালদহ উত্তর, বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের মত আসন হারাতে চলেছে বলেই মত তৃণমূলের কৌশলিদের। তাই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূলের কাছে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল ম্যাচ হতে চলেছে।
https://amzn.to/3Y9uv7U |
0 comments:
Post a Comment