কর্ণাটকে চাণক্য কৌশল!!!




 স্টাফ রিপোর্টার:বিজেপির নিজস্ব দলীয় সূত্র বলছে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা তো দূরের কথা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবেও উঠে আসা মুশকিল। তাই গেরুয়া শিবিরের চাণক্য অমিত শাহ কৌশলে কংগ্রেসের বিজয়রথ আটকাতে আসরে নেমেছেন। বিজেপির অভ্যন্তরীন দলীয় সূত্র অনুয্যী বিজেপির ৮০ আসন লাভ করাই টাফ। তাই কর্ণাটকে ক্ষমতা দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে আসরে নেমেছেন অমিত শাহ।


কংগ্রেসের নিশ্চিত ও সম্ভাবনাময় আসনগুলিতে বিজেপি বিরোধী ভোট বিভাজনের কৌশল নিয়েছেন অমিত শাহ। কর্ণাটকে তাঁর দুই অস্ত্র। একদিকে দেবেগৌড়ার সেকুলার জনতা দল। অন্যদিকে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, মায়াবতির বি এস পি ও আসাদউদ্দিন ওয়েসির মিম। বহুমুখি লড়াই বাঁচিয়ে, কংগ্রেসের নিশ্চিত ও সম্ভাবনাময় আসনগুলি দুর্বল করাই শাহি কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। উপকূলবর্তী, কর্ণাটকে মুসলিম তরুণদের মধ্যে এখনও প্রভাব রয়েছে নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও তাদের রাজনৈতিক শাখা এস ডি পি আই এর। এস ডিপি আই উপকূল কর্ণাটকে ভোট কেটে কংগ্রেসকে বিপদগ্রস্থ করবে এমন কৌশল নিতে চলেছে। এর পিছনে বিজেপির গোপন মদত এমনটাই মনে করছেন বিজেপির রাজনৈতিক মহল।কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে একলা চলার নীতি নিয়েছে কংগ্রেস। দেবেগৌড়ার সেকুলার জনতা দল বা সিপিআই, সিপিএম কারুর সঙ্গেই রাজনৈতিক আঁতাত বা আসন সমঝোতায় যাচ্ছে না কংগ্রেস। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।দেবগৌড়া কুমারস্বামীদের যত বেশী সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব তা দিতে প্ররোচনা দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। একই ভাবে আপ, বি এস পি, মিম ও বামপন্থী পার্টিদের প্রার্থী দেওয়াতে আগ্রহী গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপি তথা দলের চাণক্য অমিত শাহের আর এক অস্ত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধিরামাইয়া ও কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি.কে.শিবকুমারের দ্বন্দ্বকে উস্কে দেওয়া। কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফিরতে নরেন্দ্র মোদীর আস্থা যে শাহি কৌশলে তা বলাই বাহুল্য।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment