নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিপাকে বঙ্গ বিজেপি

 




Staff Reporter,Indiapost24,Web Desk: পশ্চিমবঙ্গে ১৯-এর লোকসভা ও ২১- এর বিধানসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব ইস্যুতে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশ থেকে চলে আশা হিন্দু শরনার্থী, বিশেষ করে দলিত হিন্দুদের সমর্কমে বলিয়ান হয় বিজেপি। কিন্তু সংসদে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সি এ এ কার্যকর হওয়ার কোন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। এতে দলিত হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যা ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বুমেরাং হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এ নিয়ে উদ্বেগে বঙ্গ বিজেপি। শুধু দলিত হিন্দুরাই নয়, উপজাতি, রাজবংশী-কোচদের সমর্থন পেয়ে এসেছে বিজেপি। সি এ এ ইস্যুতে তাদের অবস্থান বিপরীত মুখি। তাঁরা এন আর সি চায়। ফলে বিপরীত মুখি সংঘাতের পরিবেশে সি এ একে অমিত শাহ ডিপ ফ্রিজে ঢাকিয়ে রেখেছেন। তাতে মতুয়া ও দলিত হিন্দুদের দ্বিমুখী আচরণে বিরক্ত মতুয়াদের বড় অংশ তৃণমূল-মমতার দিকে ঝুঁকেছেন। এতে অশনি সংকেত দেখছেন বনগার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। লোকসভা নির্বাচনে হারার আশঙ্কায় শান্তনু। বঙ্গে হিন্দু-দলিত বিদ্রোহে চিন্তা বেড়েছে মোদী-অমিত শাহদের। অপ্রত্যাশিত ভাবে নয়, কার্যত প্রত্যাশিত বিদ্রোহ ঘটানো বিজেপির হিন্দু শরনার্থী নেতা-কর্মীদের। আগেই হিন্দু দলিত শরনার্থী মতুয়া শিবিরের সঙ্গে বিজেপির বঙ্গ তো বটেই, কেন্দ্রীয় মেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। এবার শুধু হিন্দু দলিত শরনার্থী মতুয়ারাই নয়, বঙ্গ বিজেপির উদ্বান্ত সেলও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ্যে আনলেন। রাজবংশিরাও এখন বিজেপির বিরুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় নিপীড়ন চলে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ মানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সি এ এ পাশ করেন সংসদে। কিন্তু নানা চাপে তা

কার্যকর হয়নি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সি এ এ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিরোধী দল, নাগরিক সমাজের বড় অংশ ও মুসলিম সংগঠঙ্গুলি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে মুখর হন। এদিকে সংসদে পাশ হওয়া এই আইনকে কার্যকরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও গত ৩ বছরে তা রূপায়ন করতে ব্যর্থ বিজেপি। শুধ পশ্চিমবঙ্গেই

নয়, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় সহ উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্য এমনকি রাজধানী দিল্লি থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের মধ্যে সি এ এ কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। তবু নিরুত্তর বিজেপি। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এরই প্রতিক্রিয়ায় মতুয়া অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া সহ একাধিক জেলায় ৫২ টি আসনের অধিকাংশ আসনেই হেরে যায় বিজেপি। যদিও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের একচ্ছত্র সমর্থনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে দারুন নির্বাচনী ফল করেছিল। তাই মতুয়া ক্ষতে মলম দিতে আসরে নেমেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। শান্তনু ঠাকুর, সুরত ঠাকুরদের নেতৃত্বে বিজেপিতে মতুয়া বিদ্রোহ ঘটায় তাদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। এখন ব্যাকফুটে বঙ্গ বিজেপি। এর উপর বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের আহবাহক ও দলের অপসারিত মুখপাত্র মোহিত রায় প্রকাশ্যে সি এ এ কার্যকর না হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই নিশানা করেছেন। মতুয়া বিদ্রোহের পাশে দলের উদ্বান্তে সেলের প্রকাশ্য বিক্ষোভে টলমলে অবস্থা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment