মতুয়াদের প্রকৃত বন্ধু তাহলে সত্যিই কি তৃণমূল?

 


 Indiapost24 Web Desk:২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এবারও বিজেপির লক্ষ্য মতুয়া ভোট ব্যাংক ধরে রাখা। লোকসভা নির্বাচনের আগে নদিয়াতে সরকারি সভায় গিয়ে মতুয়া মন পেতে মরিয়া চেষ্টা চালালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তিনি মতুয়াদের জন্য কী করেছেন? বড়মার পাশে কীভাবে থেকেছেন? এনআরসি বা সিএএ, মমতার বক্তব্যে উঠে এসেছে একাধিক বিষয়। বৃহস্পতিবার শান্তিপুরের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের অনেকাংশ জুড়ে ছিল মতুয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অনেকে নির্বাচনের সময় মতুয়াদের কথা বলেন। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না ১৫ বছর ধরে বার বার আমি বড়মার কাছে ছুটে গিয়েছি। তখন কেউ খবর নিত না। ওনার যত চিকিৎসা নিজের টাকায় করেছি। যাতে কারও সাহায্য নিতে না হয়। আজ বড় বড় কথা। মতুয়া বিকাশ পর্ষদ তৈরি হয়েছে। নমশুদ্র বিকাশ পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। মতুয়া বিকাশ পর্ষদকে ১০ কোটি দেওয়া হয়েছে। নমশুদ্র বিকাশ পর্ষদকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।' একনাগাড়ে মতুয়াদের জন্য কি কি করেছেন বলতে থাকেন মমতা।

এর আগে মতুয়া মন পেতে ঠাকুরনগরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় একাধিক আসনে জয়ী হয় বিজেপি প্রার্থীরা। তাই এবার মতুয়া ভোট ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ঠাকুরনগরে ঠাকুর বাড়ির কাছাকাছি হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এর এক্সটেনশন কৃষ্ণনগরে হচ্ছে। পিআর ঠাকুর সরকারি কলজে হয়েছে গাইঘাটায়। বড়মার কাছে গিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান বিঙ্গবিভূষণ তুলে দিয়েছিলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি থাকে। ঠাকুরনগর ঢেলে সাজিয়েছি। গাইঘাটা থেকে ঠাকুরনগর পর্যন্ত রাস্তা। ফুল মান্ডি তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ সাবস্টেশন হচ্ছে। একাধিক সেতু নির্মাণ হয়েছে।'

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment