রেলওয়ের গাফিলতিই কাঞ্চনজঙ্ঘাএক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ?

 



Indiapost24 Web Desk:১৭ জুন একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের। এ দুর্ঘটনায় হতাহত হন বহু মানুষ। প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের ভুল নয়, মালবাহী ট্রেনচালকের ভুলেই ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি।

কিন্তু তার প্রায় একমাস পর সামনে এলো একদম অন্য তথ্য। এবার জানা যাচ্ছে, চালকের কোনো ভুল ছিল না। বরং রেলওয়ের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।

রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনের (সিআরএস) তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, রেলওয়ে পরিচালনার ভুলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ট্রেন দুটি। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রেন চালানোর জন্য চালকের কাছে যে নথি দেওয়া হয়েছিল, তা যথেষ্ট ছিল না। ওয়াকিটকির মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসও ছিল না তার কাছে। এছাড়া, ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিশ্রাম নিতে পারেনি ট্রেনের চালক ও সহকারী চালক।

গত ১৭ জুন কাঠিয়ার ডিভিশনের রাঙাপানি স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সেসময় পেছন থেকে একটি মালগাড়ি এসে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুটি বগির ওপরে উঠে যায় সেই মালগাড়িটি। এ দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সহকারী চালকসহ প্রায় ১২ জন নিহত হন। আহত হন অসংখ্য যাত্রী।

ওই দুর্ঘটনার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কথা বলার জন্য পর্যাপ্ত ওয়াকিটকি ছিল না, সামগ্রিক ট্রেন পরিচালনায় ত্রুটি ছিল, ট্রেনচালকের জন্য যথেষ্ট সংখ্যায় মেমো ছিল না। শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা ও মালগাড়ি নয়, ওই লাইনে ঢুকে পড়েছিল আরও একটি ট্রেন। এর ফলে ঘটতে পারতো আরও বড় দুর্ঘটনা। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনে জানিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে দেখে ব্রেক কষেছিলেন মালগাড়ির চালক। তারপরও দুর্ঘটনায় এড়ানো যায়নি। কারণ দুটি ট্রেনের মধ্যে দূরত্ব খুব কম ছিল। এরপরেও অবশ্য প্রশ্ন থেকে যায়, অতিরিক্ত গতিতে কেন ট্রেনটি চালিয়েছিলেন মালগাড়ির চালক। অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কীভাবে ট্রেন চালানো উচিত সে সম্পর্কিত উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছিল না তার?

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment