Indiapost24 Web Desk:পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে আবার নতুন করে পৃথক রাজ্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদের সক্রিয়তা শুরু হয়েছে। বিজেপি-আর এস এস তাদের আদর্শগত ছোট রাজ্যের ফর্মূলায় পৃথক বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুওলতে শুরু করেছে। কৌশলগত ভাবে। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচেটিয়া রাজনৈতিক প্রাধান্যে আঘাত হানতে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য গঠন এক কৌশলগত হাতিয়ার বলেই মনে করছেন। অনন্ত মহারাজা ইতিমধ্যে পৃথক কোচবিহারের দাবিতে সরব হয়েছেন। বিজেপি এক জাতীয় দল হওয়ায় এবং আর এস এস হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন হওয়ায় তাদের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, কামতাপুর পিপলস পার্টি, গ্রেটার কোচবিহার পিপলশ এসোসিয়েশনের তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গে নানা মামলা থেকে বাচতে অনীত থাপারা এখন মমতার বন্ধু।
কিন্তু পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে এসে ব্যাকফুটে থাকা বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা গোর্খা সমর্থন হারানোয় এবার নতুন করে কার্যত পৃথক রাজ্যের দাবিতে মুখর বিমল গুরুং। এদিকে কামতাপুর রাজ্য ও গ্রেটার কোচবিহার পৃথক কোচবিহারের দাবিতে মুখর হওয়ায় শাসক দলের অভ্যন্তরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতি ভিত্তিক পৃথক রাজ্যের দাবিতে সহমত না হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে মুখর বিজেপি-আর এস এস। ফলে উত্তরবঙ্গে নতুন করে আলাদা রাজ্য, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে আসার সম্ভাবনায় চিন্তা বেড়েছে মমতা প্রশাসনের। গ্রেটার কোচবিহারের এক গোষ্ঠী নেতা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বোঝাপড়া চাইছেন এমনটাই সূত্রের খবর। উত্তরবঙ্গে নতুন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সক্রিয়তায় যে শাসক দল তৃণমূল উদ্বিগ্ন তা বলাই বাহুল্য।
0 comments:
Post a Comment