Indiapost24 Web Desk:হরিয়ানায় কৃষক ক্ষোভের পাশে রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ ক্রমেই চড়ছে। মনোহর লাল খাট্টার কে কেন্দ্রীয় মুন্ত্রী ও নবাব সিং সাইনির মত ওবিসি মুখ কে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মোকাবিলা করা সম্ভব হয় নি।
তাই হরিয়ানায় কংগ্রেসের হাতে নিশ্চিত হার এড়াতে এবার মাঠে নামতে চলেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে জাঠ খোভকে সামাল দিতে ইতিমধ্যে বংশীলালের পুত্রবধূ কিরণ চৌধুরি, রঞ্জিত চৌথালাকে দলে এনেও জাঠ ক্ষোভ প্রশমিত করা যাচ্ছে না।
হরিয়ানায় ১ লা অক্টোবর নির্বাচনের আগে জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) –তে দুস্মন্ত চৌথালার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘটতে চলেছে। সাত বিধায়কের ৪ জন কংরেসে ৩ জন বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। ন্যাশনাল লোকদল কার্যত এই মুহূর্তে হরিয়ানায় সাইন বোর্ড সর্বস্ব পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের মত বিধানসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় মূল লড়াই হতে চলেছে কংগ্রেস ও বিজেপিতে। কংগ্রেস ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় ৫৫-৬০ আসন জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে হরিয়ানায় সচেয়ে প্রভাবশালী জাঠ নেতা ভূপেন্দ্র সিং হুডার সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কুমারী শৈলজা, কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যসভার সদস্য রণদীপ সিং সূর্যওয়ালার বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড, বিশেষ করে গান্ধী পরিবার এই নিয়ে চিন্তায়। তাঁরা ভূপেন্দ্র সিং হুডার নেত্রিত্বে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চাইছে। ভূপেন্দ্র সিং হুডা কুমারী শৈলজা, রণদীপ সিং সূর্যওয়ালা কে পাত্তা দিতে চাইছেন না। বিজেপি কংগ্রেসের এই অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতের দিকে নজর রেখেছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মোদীর প্রচারের উপর ভরসা করে হরিয়ানায় ক্ষমতা হারানো ও নিশ্চিত হার থেকে জয়ের সম্ভাবনার চাকা ঘোরাতে চাইছেন। বিজেপি হরিয়ানা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ও উদবেগে রয়েছে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
0 comments:
Post a Comment