রাস্তায় নেমে আন্দোলনই বঙ্গে শাহ-নাড্ডাদের টোটকা?

 



Indiapost24 Web Desk:দূর্গাপুজা পর্ব আসন্ন। এবার  কালিপুজা-দীপাবলি ও ভাইফোঁটা শেষ হওয়ার পরই রাস্তায় পার্টির কর্মী-সমর্থকদের নামিয়ে নানা ইস্যুতে গণ আন্দোলন গড়ার জন্য পশ্চিমবংগ বিজেপি নেতৃত্বকে টোটকা দিয়েছেন অমিত শাহ-নাড্ডারা।

২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে হার, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় না আসতে পারার প্রতিক্রিয়ায় সাংগঠনিক বিপর্যয় এখন তলানিতে বিজেপির। ২৪-র লোকসভা নির্বাচনেও দ্বিতীয়বার বিপর্য্যয়-এর সামনে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির আর জি কর কান্ডে অভিযান থেকে রাজ্যে ঘুরে দাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার পরবর্তী পদখেপে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় দুর্নীতি,আরজিকর কান্ডে তরুণী চিকিৎসকের  হত্যা-ধর্ষণ,বেকারি,রাজ্যের চরম আর্থিক দূর্গতি,আইন শৃংখলার বেহাল দশা, রাজনৈতিক হিংসা-সন্ত্রাসের ইস্যুকে সামনে রেখে দলের সর্বস্তরের কর্মী,সমর্থকদের চাঙ্গা করার নিদান দিয়েছেন শাহ-নাড্ডারা। আরজিকর কান্ডে এখন বিজেপি সরব, আন্দোলন মুখি।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিজেপির পশ্চিমবংগ নেতৃত্বের একাধিক বৈঠক হয়েছে। জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের আন্দোলনে নামাতে মরিয়া সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীরা। উত্তরবঙ্গের সাত জেলায় ইতিমধ্যেই আইন অমান্য  আন্দোলনের নিরিখে সাংগঠনিক সক্রিয়তা শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বয়ং তার নিজের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর জি কর কান্ডে জেলায় জেলাউ, ব্লকে ব্লকে বিজেপি আন্দোলন যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বেজায় চিন্তায়। একই সঙ্গে আরজিকর  কান্ডে বাম-কংগ্রেসের তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশের সক্রিয়তাও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাই ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে রিগিং-হিংসা-সন্ত্রাসের সম্ভাবনাকে মনে রেখেও গ্রাম- বাংলায় বিজেপিকে অতি সক্রয় ভূমিকায় চাইছেন অমিত শাহ-নাড্ডা-বি এল সন্তোষরা। বিজেপির কেন্রীয় নেতৃত্বের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক পরামর্শ মেনে এবার নবান্ন ধাঁচে জেলায় জেলায় জেলা শাসক, মহকুমায় মহকুমা অফিসারদের অফিস অভিযান করে বিজেপি জনগণের দাবি পেশ করার উদ্যোগ নিতে চলেছে। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় হাজারো বিজেপি কর্মী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। 

শুধু সকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীরাই নয়, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও তার সমর্থকদেরও এই আন্দোলনে সামিল করতে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর জি কর কান্ডে বিজেপির গণ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ চেহারায় বিজেপিকে দেখা যাচ্ছে। আর জি কর কান্ডের পর পশ্চিমবঙ্গে ৩৬৫ ধারা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি শাসনের যে দাবি শুভেন্দু অধিকারী সহ কিছু বিজেপি নেতা করেছেন তা রূপায়ন করতে রাজি নন মোদী-শাহরা। এমন কি ৩৫৫ ধারা প্রয়োগেরও বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Share on Google Plus Share on Whatsapp



0 comments:

Post a Comment